মিয়ানমারে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প: বাংলাদেশ, ভারত, ও চীনে অনুভূত

১২:৩২ PM, ২৮ মার্চ ২০২৫ 

আজ মিয়ানমারের কিয়াউকসে (Kyaukse) শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি শক্তিশালী ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের প্রভাব বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের কিছু এলাকায়ও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তি ও কম্পন অনুভূতি

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের ম্যান্ডালে অঞ্চলের কিয়াউকসে শহরের নিকটে ছিল এবং এটি ১০ কিলোমিটার গভীরতায় সংঘটিত হয়। কম্পনের ফলে আশেপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ইয়াঙ্গুন, নেপিডোসহ অন্যান্য শহরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রভাব

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, এবং রাজধানী ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকার উচ্চ ভবনগুলোতে থাকা অনেক বাসিন্দা নিরাপত্তার জন্য দ্রুত নিচে নেমে আসেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কম্পনের অনুভূতি

ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। কিছু স্থানে আতঙ্কে মানুষ ঘর-বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে, তবে বড় ধরনের ক্ষতির কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

চীনে প্রভাব

চীনের ইউনান প্রদেশেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। তবে চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থাগুলো এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর জানায়নি।

ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধার কার্যক্রম

মিয়ানমারে কিছু পুরনো স্থাপনা ও ভবনে ফাটল ধরার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পরবর্তী আফটারশক বা পরবর্তী কম্পন হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণ

মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে ইন্ডো-অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে প্রায়শই ভূমিকম্প ঘটে থাকে।

সতর্কতা ও করণীয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট আফটারশক হতে পারে, যা ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে পারে। ভূমিকম্পের সময় কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়, তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

নিরাপদ থাকতে যা করা উচিত:

• শক্ত কোনো টেবিল বা দরজার ফ্রেমের নিচে আশ্রয় নিন।
• জানালার কাছ থেকে দূরে থাকুন।
• ওপেন স্পেসে থাকলে বিল্ডিং বা বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছ থেকে দূরে যান।
• ভূমিকম্পের পর গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করুন এবং জরুরি নম্বরে যোগাযোগ করুন।

এই ভূমিকম্পের বিষয়ে আরও আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। যদি আপনি ভূমিকম্পের সময় কোনো অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন, তবে নিচে কমেন্টে জানান।

---

গ্লোবাল বাংলা নিউজ
(আপনার বিশ্ব সংবাদ, আপনার ভাষায়)

Ads